TEEN টিন : বইমেলা ২২
গল্পগুলো অন্যরকম
জীবনের কাছে মাঝে মাঝে গল্পও তুচ্ছ হয়ে যায়। মাঝে মাঝে জীবন রূপকথার চেয়েও বেশি অবিশ্বাস্য হয়ে ওঠে। জীবনের বাঁকে বাঁকে, মোড়ে মোড়ে, ঘটনা-প্রতি-ঘটনায় জন্ম নেয় হৃদয়ের আকুতি-মিনতি, প্রেম-ভালোবাসা, সুখ আর দুঃখ। এজন্যেই জীবন দুরন্ত, দুর্বিনীত ও চঞ্চল। এজন্যেই জীবন অন্যরকম। সেই অন্যরকম জীবনে জন্ম নেওয়া একগুচ্ছ গল্প দিয়েই সাজনো ‘গল্পগুলো অন্যরকম’ বইটি।
জবাব (পেপার ব্যাক)
পৃষ্ঠা : 216, কভার : পেপার ব্যাক
আমরা হয়ত অনেকেই জানি না, জনপ্রিয় লেখক আরিফ আজাদের তৃতীয় আরেকটি বই এবারের বইমেলায় প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। ‘জবাব’। তবে এখানে শুধু আরিফ আজাদের লেখা নয়, বইটিতে বাংলাদেশের প্রথিতযশা যে কয়েকজন লেখক ইসলামের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সংশয়মূলক কিছু প্রশ্নের জবাব এবং ইসলামের সত্যতা নিয়ে লিখেছেন, তাদের লেখাও আছেন। তাঁরা হচ্ছেন:
.
ডা. শামসুল আরেফিন শক্তি, মুশফিকুর রহমান মিনার, রাফান আহমেদ, শিহাব আহমেদ তুহিন, আরিফুল ইসলাম, জাকারিয়া মাসুদ, মহিউদ্দিন রূপম, মুরসালিন নিলয়-সহ প্রমুখ।
সম্পাদনা করেছেন: মুফতি তারেকুজ্জামান, মুফতি আবুল হাসানাত কাসিম, উস্তায আব্দুল্লাহ মাহমুদ, জাকিয়া সিদ্দীকি।
জীবন যেখানে যেমন (Jibon Jekhane Jemon)
নবি জীবনের গল্প (Nobi Jiboner Golpo)
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ (Paradoxical Sajid)
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২
চতুর্দশ প্রকাশ: জানুয়ারি ২০২০
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৪০
কভার: পেপার ব্যাক
ইসলাম কারও শত্রু হতে আসেনি। ইসলাম এসেছে মানুষকে ভুলে যাওয়া ওয়াদা স্মরণ করিয়ে দিতে, যে ওয়াদা আমরা প্রত্যেকেই দিয়ে এসেছি আল্লাহর কাছে রূহের জগতে। এবং আমাদের আসল শত্রু ইবলিশ শয়তানকে চিনিয়ে দিতেই আল্লাহ্ পাঠিয়েছেন যুগে যুগে নবি রসূল। কিন্তু কিছু লোক সেই শত্রুকে ছেড়ে ইসলামকেই শত্রু হিশেবে নিয়েছে! এর পেছনে একাধিক কারণ থাকলেও অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে, নষ্ট হওয়া ফিতরাতি বুঝ। সহজাত বিবেক যে বিষয়ে সাক্ষ্য দেবার কথা অনায়াসে, সে বিষয়েই সে সংশয়গ্রস্ত বিভিন্ন যুক্তিতে। কখনো বিজ্ঞান, কখনো জাতীয়তাবাদ, কখনও-বা পশ্চিমাদের বুলির প্রতিফলন ঘটে তাদের মাঝে।
আপাদমস্তক এদেরকে যুক্তিবাদী মনে হলেও বস্তুত এদের অধিকাংশই স্রেফ বিদ্বেষ পোষণকারী। সত্য-মিথ্যার মানদণ্ডকে ঘুরিয়ে দেয়া, অতঃপর জেনে বুঝে ইসলামের সাথে শত্রুতায় লিপ্ত হওয়া—এটাই এদের উদ্দেশ্য। নাস্তিক্যবাদের আড়ালে এভাবে ইসলাম বিদ্বেষ লালন শুরু হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগেই। তথাপি এদের কথার মারপ্যাঁচে পড়ে অনেক বুদ্ধিদীপ্ত যুবক-যুবতী ধরছে নাস্তিকতার পথ। এদের অনেকেই সত্য-সন্ধানী।
সত্যের প্রতি বিনয়ী সেই যুব সমাজের জন্য আরিফ আজাদ নিয়ে আসে এই বাংলার জমিনে ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’। গল্পের আঙ্গিকে, যুক্তি এবং বিজ্ঞানের আলোকে সংশয়বাদীদের মাঝে প্রচলিত সকল প্রশ্নের জবাব তিনি লিখেছেন বইটিতে। ইতিপূর্বে পাঠক সমাজে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে এই বই। ছাত্র-শিক্ষক থেকে শুরু করে মানুষ দলে দলে কেনা শুরু করে বইটি এবং সংশয়ের পথ ছেড়ে ইসলামের পথে ফিরে আসে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-২
প্রত্যাবর্তন (পেপারব্যাক)
বেলা ফুরাবার আগে
পৃষ্ঠা: ১৯২
কভার: পেপারব্যাক
বেলা ফুরাবার আগে…
নিজেকে আবিষ্কারের একটি আয়না। যে ভুল আর ভ্রান্তির মোহে, অন্ধকারের যে অলিগলিতে আমাদের এতোদিনকার পদচারণা, তার বিপরীতে জীবনের নতুন অধ্যায়ে নিজের নাম লিখিয়ে নিতে একটি সহায়ক গ্রন্থ এই বই, ইন শা আল্লাহ।
বইটি কাদের জন্য?
এই বই তাদের জন্য যারা আমার কাছে ‘সাজিদ হতে চাই’ বলে বিভিন্ন সময়ে আবদার করেন। পরামর্শের আবদার, পথনির্দেশের আবদার। সাজিদ হতে হলে, আমি মনে করি, সবার আগে একটা অন্ধকার বৃত্ত থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। সাজিদ যেভাবে অন্ধকারের কৃষ্ণগহ্বর ছেড়ে, আলোর ফোয়ারাতে তার জীবন রাঙিয়েছে, সেরকম ঝলমলে আলোর মাঝে নিজেকে মেলে ধরাই ‘সাজিদ’ হবার প্রথম এবং প্রধান শর্ত। কেবল ভারি ভারি বই আর যুক্তির পশরা সাজিয়ে প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করার মধ্যেই ‘সাজিদ’ হয়ে উঠার সার্থকতা নেই। সাজিদ হয়ে উঠার সার্থকতা তখনই যখন সাজিদ যে আদর্শের আলো প্রাণে প্রাণে ছড়িয়ে দিতে চায়, তা আমরা জীবনে মেখে নিতে পারবো।
বইটি কাদের জন্য?
ভুলোমনা একঝাঁক তারুণ্যের জন্য এই বই। যে ভুলের গহ্বরে তারা জীবনের বসন্তগুলোকে পার করছে, সেই ভুল থেকে তাদের ‘বেলা ফুরাবার আগে’ টেনে তুলতেই এই বইটার অবতারণা।
এর বাইরেও থাকছেঃ
‘চোখের রোগ’, ‘বলো, সুখ কোথা পাই’, ‘বেলা ফুরাবার আগে’, ‘মেঘের কোলে রোদ হেসেছে’, ‘যুদ্ধ মানে শত্রু শত্রু খেলা’, ‘চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়’, ‘বসন্ত এসে গেছে’, ‘তুলি দুই হাত করি মোনাজাত’, ‘চলো বদলাই’ নামের আঠারোটি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে, ভিন্ন ভিন্ন অধ্যায়।
মা, মা, মা এবং বাবা
সম্পাদনা : আরিফ আজাদ
পৃষ্ঠা : ১৭৬
মা, মা, মা এবং বাবা’ বইটির ফ্ল্যাপ থেকেঃ
পিতা-মাতা এবং সন্তানের মধ্যকার সম্পর্কটাই পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর এবং সবচেয়ে সুন্দর সম্পর্ক। এই সম্পর্কের কোথাও কোনো খাঁদ নেই। নেই স্বার্থ কিংবা স্বার্পরতার ছোঁয়া। মায়া, মমতা, আদর, যত্ন এবং নিখাঁদ ভালোবাসার এক অদ্ভুত চক্রে আবর্তিত এই সম্পর্কের প্রতিটি মুহূর্ত। আমাদের জন্ম, বেড়ে ওঠা, শৈশব এবং কৈশোরের গল্পে, আমাদের যুবক হয়ে ওঠার চিত্রপটে তারাই থাকেন মূল ভূমিকায়।
.
অথচ নিয়তির নির্মম পরিহাসে আমাদের জীবনের সেই মহানায়ক আর মহানায়িকা, যারা নিজেদের সবটুকু ঢেলে দিয়ে আমাদের আগলে রাখেন, আমাদের মানুষ করেন, তাদেরকে আমরা আস্তাকুড়ে ছুঁড়ে ফেলি। পরিত্যক্ত জঞ্জালের ন্যায় ভাগাড়ে নিক্ষেপ করি। এমনসব কঠিণপ্রাণ সন্তান, যারা দুনিয়ার লোভ আর মোহে পড়ে বাবা-মা’কে ভুলে যায়, ভুলে যায় তাদের অবদান, ত্যাগ আর তিতিক্ষার গল্প, কেমন হয় তাদের পরিণতি?
.
অথবা, এমনসব সৌভাগ্যবান সন্তান, যারা সবকিছুর বিনিময়ে বাবা-মা’কে আগলে রাখে, ভালোবাসে, যেভাবে শৈশবে তাদের আগলে রেখেছিল তাদের পিতা-মাতা, কেমন হয় সেসকল সন্তানদের যাপিত জীবনের গল্প? সেরকম একঝুঁড়ি গল্পের সমাহার নিয়ে রচিত মা, মা, মা এবং বাবা।